যাকাতের বর্ণনা
যাকাত হল ইসলামের মূলস্তম্ভ সমূহ হতে অন্যতম একটি স্তম্ভ। হাদীসের মধ্যে
প্রথমে ঈমান এরপর নামায এরপর যাকাতকে উল্লেখ করা হয়েছে। কুরআনে কারীমের ৮১ স্থানে
নামাযের সাথে সাথে যাকাতকেও উল্লেখ করা হয়েছে। হাদীসে নববীতে যাকাত সম্পর্কে বলা
হয়েছে, যে ব্যক্তিকে আল্লাহ্ পাক ধন-সম্পদ দিয়েছেন কিন্তু সে যাকাত দিল না।
কিয়ামতের দিন সে সম্পদ ভয়ংকর আকৃতিতে সর্পে পরিণত হবে। তাকে দংশন করবে আর বলবে আমি
তোমার সে সম্পদ যার যাকাত তুমি প্রদান করনি।
যাকাত শব্দের অর্থ হল বরকত বা পবিত্র হওয়া। কিন্তু শরীয়তের পরিভাষায় যাকাত
বলা হয়।
تمليك جزء مال عينه الشارع من
مسلم فقير غير هاشمى ولا مولاه مع قطع المنفعة عن المملك من كل وجه لله تعالى-كذا
فى الدر المختار-
উচ্চারণঃ-
তামলীকু জুযই আইয়ানাহুশ্ শারিউ মিন মুসলিমিন ফক্বীরিন গাইরু হাশিমিইয়ীন
ওয়ালা মাওলাহু মা'আ ক্বাত্য়িল মানফাআতি আনিল মুমাল্লিকি মিন কুল্লি ওয়াজহিন
লিল্লাহি তা'আলা।
অর্থঃ-
শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদকে হাশিমী কিংবা তাদের কৃতদাস ব্যতীত
দরিদ্র মুসলমানকে আল্লাহর ওয়াস্তে মালিক বানিয়ে দেয়া।
যাকাত কখন ফরজ হল
যাকাত কখন ফরজ করা হয়েছে এ নিয়ে উলামায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ
বলেন যাকাত হিজরতের পূর্বেই ফরজ করা হয়েছে। আর কেউ দাবি করেছেন যে, হিজরতের পর
যাকাত ফরজ করা হয়েছে। যাকাতকে রমজানের রোজা ফরজ করার পর ফরজ করা হয়েছে। কেউ বলেন,
যে প্রথম হিজরীতে ফরজ করা হয়েছে। আবার কেউ বলেন, দ্বিতীয় হিজরীতে। ইবনুল আছীর
বলেন, নবম হিজরীতে যাকাত ফরজ করা হয়েছে। তবে বিশুদ্ধ কথা হল যাকাত হিজরতের পর
দ্বিতীয় হিজরীতে ফরজ করা হয়েছে।
যে ব্যক্তির উপর যাকাত দেয়া ফরজ
স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, বুদ্ধিমান মুসলমানের কাছে যদি তার বাৎসরিক